নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এরফান হোসেন দীপ এর উদ্যোগে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা , দোয়া মাহফিল ও গনভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোবারক হোসেনের পুত্র, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান এরফান হোসেন দীপের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
মরহুম মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আবারও ভোট চান এরফান হোসেন দীপ।
তিনি বলেন, সোনারগাঁওয়ের চিত্রটা ব্যতিক্রম। আমি সোনারগাঁওয়ের একজন সাবেক সংসদ সদস্যর পুত্র। আমি কিছু দিন আগে লক্ষ্য করলাম। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি প্রস্তাব করা হলো। এখান থেকে আমার নাম দেয়া হয় নাই, আমার কোনো আক্ষেপ নাই। আমি কাউকে এ বিষয়ের জন্য আক্ষেপ জানাই নাই আমার নামটা কেনো দেয়া হলো না। কারণ আমি তাদের উপর আস্থা রাখতে চেয়েছি যদি আমি যোগ্য হই, তাহলে আমার নাম প্রস্তাব করবেন। যদি যোগ্য না হই নাম প্রস্তাব করবেন না।”
সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাপ হোসেন, মোগাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, সাইদুর রহমান মোল্লা, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জসিম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ সদস্য মেহেদী হাসান রবিন, মোগরা পাড়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার মোঃ মজিবর রহমান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ মুসা, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ সোনারগাঁও উপজেলা সভাপতি নাইদুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিফাত ব্যাপারি, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ সোনারগাঁ পৌরসভা-সভাপতি আরাফাত ইসলাম সিয়াম, বারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি কবির প্রধান প্রমুখ।
এসময় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী নেতা এরফান হোসেন দীপ বলেছেন, “আমি মাথা পেতে নিয়েছি, আমি চেয়েছি যারা এখানে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন,তারা কমিটিতে আসবেন, কমিটি চলবে। আমি কমিটিতে নাও থাকি, আমার কিছু যায়-আসে না। আমি নেত্রীর একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে কাজ করব। সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটি গঠিত হবে প্রস্তাবনা কমিটিতে নাম দিয়েছে। সেখানেও আমার নাম প্রস্তাব করা হয়নাই, আমার আক্ষেপ নাই। জেলা আওয়ামীলীগ ও সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের কোনো নেতৃত্ববৃন্দ বলতে পারবে না। কারো কাছে কখনও কোনো আক্ষেপ জানিয়েছি, কমিটির ব্যাপারে। আমি এটা প্রকাশ্যেই বললাম। কষ্টের কথা গুলা বলতে হয় এজন্য যদি কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি না হতো তাহলে আজকে এ কথা গুলো আসতো না। আমি এ মঞ্চ থেকে বলতে চাই, এ কথা গুলো কিন্তু আমি কমিটিতে আসার জন্য বলছি না। আমার নাম জেলা আওয়ামীলীগ ইতোমধ্যে অনুমোদন করে দিয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের জন্য।
তিনি বলেছেন নেত্রী কিছুদিন আগে বিশেষ বর্ধিত সভায় তার গনভবনে বলেছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ কর। উপজেলা আওয়ামীলীগের সৌন্দর্য্যটা এখানে থাকতো যদি সকলকে দাওয়াত দিয়ে সকলকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিতো। এখন আমি যদি ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগে ভূমিকা রাখতে না পারি, তাহলে আমাদের জন্য কত কষ্টকর। এ জিনিসটা হচ্ছে কেনো। সাধারণত পোস্টার ফেস্টুন লাগানো হয় প্রচারণার জন্য। আমি লক্ষ্য করলাম, প্রথম থেকেই আমার লাগানো পোস্টার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়। আমি কোথাও আক্ষেপ করি নাই, কোথাও অভিযোগ করি নাই। কিন্তু আমি চিন্তা করলাম যে আমার পোস্টার-ফেস্টুনটা ছিড়ে। সে তো আওয়ামীলীগের রাজনীতিই করে। কারণ এটা প্রমাণিত কে ছিড়েছে, এটা সবাইই জানে।
দীপ আরোও বলেছেন, আমাকে যদি পছন্দ না হয় অথবা যদি সেই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পায়, যে আমি যদি খালি মাঠ না পাই, গোল দিতে পারবা না। একদম খালি মাঠ থাকবে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশিত আমিই থাকব, এরকম যদি চিন্তা ভাবনা থাকে। আমার চেহারার ভেতর চুলকানি দিয়ে দিত, আমার দুঃখ লাগতো না। যেই ফেস্টুনের মধ্যে জাতির পিতার ছবি থাকে, আমার নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকে সে ফেস্টুন কোন সাহসে ছিড়লো। সে কি আওয়ামীলীগের, আমার প্রশ্ন? যদি সংসদ সদস্য হওয়ার আগে জাতির জনককে অবমাননা করে নেত্রীকে অবমাননা করে। সে নেতা সংসদ সদস্য হওয়ার পরে ওই নেতা কি করতে পারে মানুষের সাথে সেটা আপনাদের কাছে বিচার দিলাম।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারের সদস্যদের স্বরনে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও গনভোজের আয়োজন করা হয়।
আপনার মতামত দিন