বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের জন্য ৯ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, রায় প্রস্তুত হয়নি। সে কারণে বিচারক নতুন তারিখ দিয়েছেন।
আর ওই সময় পর্যন্ত ছয় আসামির জামিন বহাল রাখা হয়েছে বলে তাদের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম অনি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় ২১ অক্টোবর নতুন তারিখ রাখা হয়েছিল। এখন তা আবার পিছিয়ে গেলো।
গত ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন বিচারের মুখোমুখি হওয়া সাত আসামি। তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এই সাতজন হলেন ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের মোঃ শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। তাদের মধ্যে বাবুল চিশতী কারাগারে আছেন, বাকিরা জামিনে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে।
গত বছর ১৩ আগস্ট এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ২৪ আগস্ট। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম অনি সে সময় বলেছিলেন, মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হলেও তাদের জবানবন্দির মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণে ‘ব্যর্থ হয়েছে’ রাষ্ট্রপক্ষ।
‘জেরার সময় সাক্ষীরা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন নাই। তাই আশা প্রকাশ করছি এই মামলায় আসামিরা ন্যায় বিচার ও খালাস পাবেন।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছিলেন, ‘আসামিদের অপরাধ প্রমাণে আমরা সক্ষম হয়েছি, তাই তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের যেসব ধারায় এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তি হতে পারে।
মৃত্যুদণ্ডের কোনো ধারা না থাকায় এস কে সিনহাসহ পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
আপনার মতামত দিন