শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে সেতুর সাব কন্ট্রাকের কাছে বকেয়া ২কোটি ৬ লাখ টাকা ও গ্যাস সিলেন্ডার বোতল পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পাওনাদার। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ে কুশিয়ারা মার্কেটের ‘ষোলোআনা’ নামের একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পাওনাদার ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোসাৎ ফাতেমা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী পাওনাদারের ছেলে ফয়সাল মাহমুদ, ফরহাদ মাহমুদ, ফারহান মাহমুদ, ছোট ভাই মো. আজম খাঁন, বোন জামাই মো. মামুন ও খালাতো ভাই মো. সজিব। ভ‚ক্তভোগী পাওনাদারের বাড়ি সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্টানটি সুনামের সাথে সেতু এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী জাকির হোসেন বুলবুলের কাছে গ্যাস সিলেন্ডার সরবরাহ করে তার স্বামী সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে সেতু এন্টারপ্রাইজের মালিকানা জাকির হোসেন বুলবুলের মেয়ের জামাই ইমরান বিশ্বাসের কাছে হস্তান্তর করা হলে সে থেকে আর্থিক লেনদেনে গড়িমসি শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে এ পর্যন্ত তিনি ২কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬শ’ ৪ টাকা বকেয়া পড়ে। বকেয়ার টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় ইমরান বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন. বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানটি এখন দেউলিয়ার পথে। প্রতিনিয়ত পাওনাদাররা এ টাকার জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এতে পরিবার নিয়ে অনাহার ও অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর দ্রæত প্রতিকারের দাবি করেন।
তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী ২০২০ সালের ২২ডিসেম্বর স্টোক করে মারা যান। এ পাওনা টাকা না পেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে স্টোক করেন। ইমরান বিশ্বাস তাকে পাওনা টাকা পরিশোধ করবে বলে আশ্বাস দিয়ে গ্যাস ও অক্সিজেন সিলেন্ডার নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি বার বার ইমরান বিশা¦াসের কাছে বার বার দ্বারস্ত হয়েছেন। এক পর্যায়ে এ টাকা চাইতে গিয়ে হত্যার হুমকি পেয়েছেন। পাশাপাশি পদ্মা নদীতে লাশ গুম করার হুমকি পান তিনি। তিনি তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ইমরান বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের লেনদেন শেষ হয়ে গেছে। হত্যার হুমকি ও লাশ গুমের বিষয়ে আমি কিছু বলিনি।
আপনার মতামত দিন