রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহাগ রনির পরাজয়ে কারণ তার অজ্ঞতা, অযোগ্যতা নেতৃত্বহীনতা।
সোমবার বিকেলে সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ দাবি করেন।
নৌকার প্রার্থী সোহাগ রনি তার নিজের দায় এড়াতে বিভ্রান্ত হয়ে আওয়ামীলীগের ৪ নেতাকে দায়ী করে তাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী কার্যালয়ে সোহাগ রনি যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তি হীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার, সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, নাসরিন সুলতানা ঝরাসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী সোহাগ রনি ফেসবুক লাইভে এসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি আরো বলেন, সোহাগ রনি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে গত ১১ জুন বর্ধিত সভা করে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। ফলে তিনি ৭ হাজারের উপরে ভোট পেয়েছেন। জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হেরে গেলেন।
তিনি সোহাগ রনির ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাইকে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্যে ষড়যন্ত্র করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চার নেতা দলের ও প্রতীকের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন বলে গত ২৪ জুন শুক্রবার এ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহাগ রনি ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। সোহাগ রনির ফেসবুক লাইভটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।
গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, সোহাগ রনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৭ ভোট ও আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবু পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৯৯ ভোট। আরিফ মাসুদ বাবু এর আগে এ ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এবার নৌকা না পেয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেন।
আপনার মতামত দিন