নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পিটুনিতে নাসির উদ্দিন নামের এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন। রোববার রাতে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সোনার তরী লোকজ মঞ্চে নাটক চলাকালে জোরপূর্বক মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় কোন প্রকার অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সোনারগাঁও থানার ওসির হস্তক্ষেপে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

আহত নাসির উদ্দিন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে রোববার রাতে সোনার তরী লোকজ মঞ্চে একটি মঞ্চ নাটক পরিবেশিত হচ্ছে। এসময় নাসির উদ্দিন নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাগ ধ্বস্তাধস্তি কিল ঘুসির ঘটনা ঘটে। পরে আনসার সদস্যরা তাকে হাতে থাকা লাইট দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ কান্তি সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে সোমবার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার বিষয়টি আলোচনা উঠে আসে। এসময় সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. মহসিন সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ ্আল কায়সার, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ ও সোনারগাঁও থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে মিমাংসা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন।

আহত যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন জানান, তিনি সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নাট্য কর্মী হিসেবে কাজ করেন। মঞ্চে নাটক চলাকালে তিনি মঞ্চে যাওয়ার চেষ্টা কালে আনসার সদস্যরা তাকে বাধা দেন। এসময় তার পরিচয় দেওয়ার পরও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এসময় উভয় পক্ষের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারধর করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পেশা দারিত্বের মধ্য থেকে আচরণ করা উচিত।

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মো. মহসিন বলেন, যুবলীগ নেতাকে কেউ চেনেন না। তারা এক মাসের জন্য লোক ও কারু শিল্প মেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছেন। বাগ বিতন্ডা ও ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এক আনসার সদস্য তাকে হাতে লাইট কানে লেগে ফেটে যায়। ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আশা করি এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা হবে। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার ঘটনাটি পরিদর্শক তদন্ত মৌখিকভাবে অবগত করেছেন। তবে লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।