বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আঁতাত করে চলা গোলজার এখন বিএনপির বড় নেতা। তার নেতৃত্বে জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর ও হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় তার নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি। বিএনপির এ নেতাকে গ্রেপ্তারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। গ্রেপ্তার করে ওই এলাকার স্বস্তি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। তার বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীতে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ভূমিদস্যু গোলজার হোসেন টাকার প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে চলছে। ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর ওই এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। গোলজারের নেতৃত্বে কৃষকের গরু লুট করে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গত সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কলতাপাড়া এলাকা থেকে তার সহযোগী দুই ডাকাত শাহপরান ও শাহ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূমিদস্যু গোলজার হোসেন এ্যাম্পায়ার স্টীল মিলের জমি কেনার দায়িত্ব পাওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠে। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার কারনে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সে নিয়মিতভাবে মাসোহারা দিতো। সরকার পতনের পর থেকে সে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি করে ওই এলাকায় তার বাহিনী দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে এলাকার রাতে বেলায় তার লোকজন ডাকাতি ও ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এসব ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে টাকার অংশ সেও ভাগ পেয়ে থাকে।
এলাকাবাসীর দাবি, ভূমিদস্যু গোলজার হোসেনের নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে। সেই বাহিনীর আলমগীর ও নান্টুর গোলজারের নির্দেশে আওয়ামীলীগের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও জমি দখলের পাশাপাশি তার প্রতিদ্বন্দি বিএনপি নেতাদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর দাবি জানিেেয়ছেন এলাকাবাসী। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামীলীগের সময়ে বিএনপি নেতারা যখন মামলা হামলায় জর্জরিত ছিল। তখন তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। সে নিয়মিত আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে।
জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির আবুল কালাম নামের এক নেতা জানিয়েছেন, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত রমজান মাসে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে। সেই ইফতার পার্টিতে আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা অতিথি হয়ে এসেছেন।
অভিযুক্ত গোলজার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখনও তিনি বিএনপি। আগেও বিএনপিই করেছেন। একটি কোম্পানির দেখবালের সুবাদে আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে যেতে হয়েছে।
আপনার মতামত দিন