প্রায় এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এক মাদ্রাসার ছাত্র। নিহতের নাম মোঃ রাব্বি মিয়া (১৩)। ছাদের উপর ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎতের তারে জড়িয়ে শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে যাওয়ার পর তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাব্বি মিয়া উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। সে উপজেলার মোগরাপাড়া হাবিবপুর আনোয়ারা হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন আলী ইসলামের ছাদের উপর গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ রাব্বি মিয়া ১১ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক তারের সাথে লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় ৷ এক সপ্তাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সোমবার রাত পৌনে ৮ টায় মাদ্রাসা ছাত্র রাব্বি মিয়া মারা যান
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ রাব্বি মিয়ার শরীরের এক পাশের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুতের অসচেতনতার কারণে রাব্বি মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অসচেতনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছাদ ও বিদ্যুৎ এর তারের মাঝখানে এক ফুটের দুরত্ব। যার কারনে প্রায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও একই জায়গায় দুই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বারবার বিদ্যুৎএর খুঁটি সড়ানোর কথা বললেও কোন গুরুতর দেয় নি। তাদের কারনেই আজ রাব্বীকে হারাতে হলো।
আপনার মতামত দিন