বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বাংলাদেশ রেলওয়ের লিজকৃত সম্পত্তি দখল করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
গত বুধবার রাতে মহজমপুর উত্তর কাজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সম্পত্তি দখলে বাধা দিতে গিয়ে মা ছেলে আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী লিজ মালিক আব্দুল বাতেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজিপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কাজিপাড়া মৌজায় ১০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল বাতেন ভোগ দখল করে আসছেন। এ জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য পাশ্ববর্তী প্রভাবশালী ফজলুল হক পায়তারা শুরু করেন। এ জমি ছাড়াও ওই এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখল করে নেন। এছাড়াও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। জমি দখলের পাঁয়তারা অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আব্দুল বাতেনের চাচাতো ভাই আবু সাঈদ বাদি হয়ে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ প্রদান করে। আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বুধবার রাতে ওই এলাকার প্রভাবশালী মো. ফজলুল হকের নেতৃত্বে জাকির হোসেন, আবু তাহেরসহ ১০-১২জনের দল ওই জমিতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট চালায়। এতে আব্দুল বাতেনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও ছেলে রবিউল ইসলাম বাধা দিলে তাদের পিটিয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভূক্তভোগী লিজ মালিক আব্দুল বাতেন বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভূক্তভোগী লিজ মালিক আব্দুল বাতেনের অভিযোগ, রেলওয়ে থেকে দীর্ঘদিন ২৫ বছর আগে ১০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। সম্প্রতি এ জমির দিকে নজর পড়েছে প্রভাবশালী ফজলুল হকের। এ জমি কেড়ে নেওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করে। আমাদের জমির পাশাপাশি ওই এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখল করে নিয়েছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও জমি দখল করতে এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমার স্ত্রী ও ছেলেকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সাড়া মেলেনি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন সোনারগাঁও নিউজকে জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিষয়টি আমার সার্কেলে। দায়িত্ব পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন