নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে এক যুবককে পিটিয়ে ভাইরাল হওয়া সেই ডাকাত শাহআলমকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। শুক্রবার তাকে গ্রেফতারের পর ডাকাতির মামলায় আদালতে পাঠিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে যুবককে নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই ডাকাতের দ্বন্ধে এ ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিও ফেসবুকে আসার আগেই তাকে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ভিডিওতে শাহ আলমকে পুলিশের সোর্স দাবি করা হলেও ওসি তা অস্বীকার করছেন। ভাইরাল হওয়া শাহ আলম বাড়ি চিনিস গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় শাহ আলম নামের এক যুবক মিউজিক বাজিয়ে নাচতে নাচতে আরেক যুবককে বেধম লাঠিপেটা করছে। শাহ আলম নামের যুবকটি নাচতে নাচতে কিছুক্ষন পর তার তাকে একটি প্লাস্টিকের সবুজ রঙের পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে লাঠি পেটা করছে। পেটানোর সময় যুবকটি হাউমাউ করে চিৎকার করলেও সে একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছে। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়।
সূত্র জানায়, শাহ আলম নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত রয়েছে। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে মারধর করে অর্থ আদায় করাই তার পেশা। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সে পুলিশের সোর্স পরিচয় দেয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। অবশেষে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
সূত্র আরো জানায়, শাহ আলমের বাড়ি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামে। সে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাড়ি চিনিস গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বসবাস করে। শাহ আলমের নির্যাতিত যুবক ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী বলে একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, শাহআলমের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোরে তাকে গ্রেফতার করে বেলা ১২ টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ভিডিও ফেসবুকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, দুই ডাকাতের দ্বন্ধে এ ভিডিও ভাইরাল করা হয়। নির্যাতিত যুবক ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী। লেনদেন নিয়ে দ্বন্ধে ওই যুবককে পেটানো হয়।
ওসি জানান, শাহ আলমের সাথে পুলিশের কোন সর্ম্পক নেই। পুলিশের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করতো। সে মূলত একজন ডাকাত। সেজন্য তাকে শুক্রবার গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত দিন