শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামপুর :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূইয়াকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নয়াপুর এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা চেষ্টা করে। তবে চেয়ারম্যান দৌড় দেয়ায় শরীরে গুলি লাগেনি বলে জানা যায়। এ ঘটনায় জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূইয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর ভূইঁয়া মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নয়াপুর বাজারে আল আরাফাহ ব্যাংকে জমি বিক্রির টাকা জমা দেওয়া শেষে দ্বিতীয় তলা থেকে রাস্তায় পৌঁছালে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর ভাতিজা তায়েব শিকদারের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে ৬ যুবক আসে। এক মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে যায় তারা। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন।
এলাকাবাসী জানায়, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু সমর্থক ও বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ভূইয়া সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় উভয় পক্ষের মামলা দায়ের করা হয়। সেই থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ থেকেই গুলির ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামলাকারী তায়েব শিকদারের নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। ইউপি নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ বিষয়ে কেউ কথা বলা সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা করে। মামলার ভয়ভীতি দেখায়।
জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূইয়া সোনারগাঁও নিউজকে জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজা তায়েব শিকদারের নেতৃত্বে ৬ যুবক এসে রাস্তার মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। গুলি ছুড়ার এক পর্যায়ে দৌড় দেওয়ার কারনে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।
অভিযুক্ত তায়েব শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন ছাত্রলীগ কর্মী। আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামাজিক কর্মকান্ড করি। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মান করি। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। সেখানে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো যাচাই করলেই সব পরিস্কার হওয়া যাবে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ সোনারগাঁও নিউজকে জানান, চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। তিনি চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি। গুলি ছুড়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন