শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একদিনের ব্যবধানে আবারো ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকতি সংঘটিত হয়েছে। গত বুধবার রাতে পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামে নদী পথে এসে মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ১২ ভরি স্বর্ণ, নগদ প্রায় এক লাখ টাকা ও ৪টি মোবাইলসেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লূট করে নিয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে জামপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৪ বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। সেখান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামে গত বুধবার রাত দুইটার দিকে ১৫-২০ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত বারান্দার দরজা ভেঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪টি কক্ষের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৯৫ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণ ৪টি মোবাইলসেট লুট করে নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান, বুধবার রাতে পাশ্ববর্তী মেঘনা নদী পথে এসে তাদের বারান্দার নিরাপত্তা বেষ্টনীর গ্রীল না থাকায় সেখান দিয়ে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। রাত ২টার দিকে প্রায় ২০ জন ডাকাতের মুখ বাধা অবস্থায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে চাবি না পেয়ে শাবল দিয়ে ৪টি কক্ষের আলমারি ভেঙ্গে ১২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৯৫ হাজার টাকা, মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তিনি থানা পুলিশে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন। থানায় মামলা বা অভিযোগ করলেও কোন কাজে আসে না। উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুম আসার পর পর এলাকায় ডাকাতি বেড়ে যায়। নদী পথে এসে ডাকাতরা হানা দিয়ে সবর্স লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ এ বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয় না। ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ শাসিয়ে চুরির অভিযোগ দিতে বলেন। ফলে একের পর ডাকাতি হলেও কেউ থানা পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মাহাবুব আলম জানান, ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আপনার মতামত দিন