নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দীর্ঘ ৪ বছর পর কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা কর্মসূচীতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম। রাজনীতির মাঠে ২০১৮ সালের পর থেকে কোন কর্মসূচীতে তাকে দেখা যায়নি। তিনি এক প্রকার রাজনীতি থেকে আড়ালে চলে গেলেও হঠ্যাৎ করে জ্বালানি তেল, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা কর্মসূচীতে বিএনপির একাংশের সমাবেশে সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিনি কর্মসূচীতে অংশ নেন।
রেজাউল করিমের কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার সোনারগাঁওয়ে বিএনপির রাজনীতি মোড় নিতে পারে বলে নেতাকর্মীরা মনে করে। আগামী সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সদস্য শাহ আলম মুকুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদল নেতা হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, সহ সম্পাদক জাকারিয়া সালেহ স্বপন, থানা বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর-ই-ইয়াসিন নোবেল, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মোল্লা, আশরাফ প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সফিক ভূঁইয়া, আতিকুল ইসলাম লেলিন, শাহ জালাল আহম্মেদ, রবিউল প্রধান ও ফয়সাল প্রধান প্রমূখ।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ৪ বার এমপি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তিনি তৎকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। পরবর্তীতে তার দপ্তর পরিবর্তন করে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হন। বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে তিনি রাজনীতিতে অনেকটা আড়ালে চলে যান। তিনি গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ায় তার নেতাকর্মীরা অনেকটা চাঙ্গা ভাব এসেছে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শাহ আলম মুকুল সোনারগাঁও নিউজকে জানান, অধ্যাপক রেজাউল করিম সোনারগাঁ বিএনপির প্রাণ। অসুস্থতার কারনে দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতির মাঠে ছিলেন না। তবে এখন থেকে রাজনীতির মাঠে সরব থাকবেন।
সোনারগাঁও থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর-ই-ইয়াসিন নোবেল বলেন, বিএনপির দল গঠনের পর থেকেই অধ্যাপক রেজাউল করিম তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি মাঠে অবস্থান করলেই রাজনীতিতে মেরুকরণ হয়। আগামী দিনে রেজাউল করিমের নেতৃত্বেই আমরা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, অসুস্থতার কারণে রাজনীতির মাঠে অবস্থান করতে পারিনি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের নির্দেশনা ছিল। বিএনপির রাজনীতিতে অতিতেও যেমন ভ‚মিকা পালন করেছি। ভবিষ্যতেও আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলন করে যাবো।
আপনার মতামত দিন