বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জেনর সোনারগাঁওয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধর ও রশি দিয়ে হাত পা বেধে রাখার অভিযোগ উঠে। উপজেলা কাঁচপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, আইজিপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ ৯টি দপ্তরে অভিযোগ করেন কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা সদস্য ও ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জোহরা আক্তার শান্তা।
দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলা কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, মেম্বার মনু ও সচিব মালেক ওই ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জোহরা আক্তার শান্তার কাছ থেকে গত ৪/৫ মাস আগে কাবিখার মাটির কাজের জন্য একটি ভেকু গাড়ী ভাড়া নেয়। কাঁচপুর আহম্মেদনগর এলাকায় কাজ করা সময় ভেকুটি পুকুরে পড়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী ভেকুটি কোন দুর্ঘটনা বা ক্ষতি সাধন হলে উভয় পক্ষ সমহারে খরচ বহন করবে। কিন্তু ভেকুর ভাড়াটিয়া চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও তার সহযোগিরা কোন খরচের টাকা না দিয়ে ভেকুটি প্রায় ৪ মাস যাবত পুকুরে ফেলে রাখে। এ নিয়ে চেয়ারম্যানকে এ সমাধানে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে জোহরা আক্তার শান্তা গত বুধবার দুপুরে শ্রমিক নিয়ে ভেকুটি পুকুর থেকে উঠানো কাজ শুরু করলে চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, ইউটি সদস্য মনু , পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী নিয়ে এসে ভেকু উঠাতে বাধা দেয় ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর সাবেক মহিলা মেম্বার জোহরা আক্তার শান্তাকে মারধর করে। এসময় শান্তার কোলে থাকা তার শিশুটি মাটিতে ছিটকে পড়ে আহত হয়। পরে চেয়ারম্যান তার গ্রাম পুলিশ দিয়ে শান্তাকে আটকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি রুমে রশি দিয়ে বেঁধে ৪ ঘন্টা আটকে রাখে। পরে শান্তা ৯৯৯ ফোন করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবেক মহিলা সদস্য জোহরা আক্তার শান্তা সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইজিপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, সচিবালয়, স্থানীয় সাংসদসহ ৯টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা। আমি ওই মহিলার কোন ভেকু ভাড়া নেই নি। বরং ওই মহিলাই ভেকু দিয়ে কাজ করলে এলাকায় সাধারণ লোকজনের জমি ক্ষতি হয়। এছাড়া এলাকার রাস্তার ক্ষতি হয়। এলাকায় লোকজনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপুরণ চাইলে উল্টো আমার লোকজনকে হুমকি দেয়। পরে আমার পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাকে পরিষদে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাওয়ান-উল-ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমার নিকট একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ক্ষতিয়ে দেখছি।
আপনার মতামত দিন