বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরনোয়াগাঁও গ্রামে ভাতিজাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হুমকিতে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন আক্তারুজ্জামান নয়ন নামের এক সাংবাদিক। গত কয়েকদিন ধরে তিনি আতংঙ্কে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এঘটনায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ঘটনায় শিউলি বেগম বাদি হয়ে শুক্রবার সকালে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান নয়ন দৈনিক এশিয়ান এইজ পত্রিকায় সোনারগাঁ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি তার ওপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ফেব্রুয়ারী শনিবার সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
আত্মগোপনে থাকা সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান নয়ন মোবাইল ফোনে জানান, তার বাবা মো. ইউছুস মিয়ার মৃত্যুর আগে তিনি ভরণপোষন করেছিলেন। তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন তার বাবার কোন দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে তার বাবা মৃত্যুর আগে কিছু জমি তাকে বেশি লিখে দিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাইয়ের ছেলেরা তার পরিবারের সঙ্গে দ্বন্ধে লিপ্ত হন। এ নিয়ে ১১ ফেব্রæয়ারী রাতে পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁকা রাস্তায় একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র চাপাতি, ছোড়া, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ভাতিজা রুবেল মীরের নেতৃত্বে পাবেল মীর, শরীফ মীর ও পলাশ মীর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাক্তকভাবে জখম করে। আহত হয়ে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হামলার ঘটনায় ওই রাতে রুবেল মীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। হামলাকারীরা সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে গিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে তার পরিবার আতংঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, হামলার ঘটনায় তিনি সোনারগাঁও থানায় ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় একজন জেলহাজতে রয়েছে। হামলাকারীরা প্রভাবশালী ও অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার তাদের অপকর্ম বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তারের পর অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের কোন চেষ্টা করছেন না।
সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান নয়নের স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসতে চাইলে তিনি বাড়ি আসতে পারছে না। হামলাকারীরা বাড়িতে এসে উৎপাত করছে। বিভিন্ন সময়ে এসে বাড়িঘরে হামলা ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ও আতংঙ্কিত।
অভিযুক্ত প্রধান আসামী রুবেল মীর গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার ছোট ভাই অভিযুক্ত পাভেল মীর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে পারবে না বলে ফোন কেটে দেন।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কারো হুমকিতে সাংবাদিক বাড়ি ছাড়া হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত দিন