বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক , সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কারুশিল্পীদের দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কারুশিল্পীদের নামে বরাদ্দকৃত দোকান মামলা নিষ্পত্তি না করেই একটি দোকান ভেঙ্গে দুটি দোকান তৈরি করে ১২ জনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দোকান বরাদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা ১৩ জন কারুশিল্পী অবহেলিত হয়। মামলা দায়ের করার অজুহাতে তাদের দোকান বরাদ্দ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে কারুশিল্পীরা অভিযোগ করেন। গত ২২ ফেব্রæয়ারী হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চের ১৩জন কারুশিল্পীর পক্ষে সেলিনা আক্তার রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনের বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও রেজিষ্ট্রেশন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে রিট পিটিশন দায়েরের পর ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ প্রথম দফায় গত ২০২১ সালের ১২ মার্চ দুটি দোকান ভাংচুর করে। দ্বিতীয় দফায় ১২ ডিসেম্বর ৬টি দোকান ভেঙ্গে ১৪ ডিসেম্বর ১২টি দোকান করে ১২ জনের মধ্যে বরাদ্দ দেয়। দোকান ভাঙ্গার কারনে ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরে কারুশিল্পীদের তৈরি কারুপন্য বিপননের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কারু পল্লি স্থাপন করে। ওই কারুপন্যের পল্লীতে ৩৫টি দোকান ছিল। কারুপল্লি জরাজীর্ণ হওয়ার কারনে ২০১২ সালে পুনরায় ৪৮ দোকান তৈরি করে কারুশিল্পীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ৪৮টি দোকান থেকে ২০জন প্রকৃত কারুশিল্পী দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। বরাদ্দ না পেয়ে কারুশিল্পীরা ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রæয়ারী রিটে কারুশিল্পীদের পক্ষে রায় দেন আদালত। ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ২০জন কারুশিল্পীকে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ২৮টি দোকান থেকে ফের ১৩ জন কারুশিল্পীকে দোকান বরাদ্দ দিতে গড়িমসি করেন। ফলে ১৩জন কারুশিল্পীর পক্ষে সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
কারুশিল্পী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের দোকান বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দ দিয়েও আমাদের দোকান বুঝিয়ে দেয়নি। উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করায় আমাদের দোকান ভেঙ্গে দেয়।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, কারুপল্লীতে এখনো ১২টি দোকান রয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায় পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন