নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পাঁচপীর দরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে প্রিজাইডিং অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ৪-৫শ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত মেম্বার প্রার্থী আল মাহবুব ও তার ভাতিজা রাজুকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ২হাজার ৯ শত ৬৪ ভোট রয়েছে। এ ভোটের মধ্যে একটি পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্র রয়েছে। ভোট গননার সময় দুই হাজার তিন’শ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার জানিয়েছেন। ফলাফল দেওয়ার সময় মাত্র ১২শ ভোটের হিসাব দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার চলে আসতে চাইলে এ নিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের তর্কবিতর্ক হয়। এসময় মেম্বার প্রার্থীরা সকলেই একত্রিত হয়ে পুনরায় ভোট গননার দাবি করেন। এক পর্যায়ে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামকে মারধর করে। আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ফখরুল ইসলাম সোনারগাঁও উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চাইলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে মেম্বার প্রার্থী প্রিজাইডিং অফিসার তাহের আলী, আল মাহবুব, রাজু, সগির মিয়া, আবুল কাশেমসহ ১০জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী তাহের আলীর দাবি, ভোট গননার গরমিল থাকায় পুনরায় ভোট গননার দাবি করলে তর্ক বিতর্কের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। প্রিজাইডিং অফিসার ভুল তথ্য দিয়ে চলে যেতে চাইলে সকল মেম্বার প্রার্থী সমর্থরা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে।
সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মেম্বারপ্রার্থীসহ ২জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নামবে।
আপনার মতামত দিন