শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিচার সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতদের মামা মো. ওয়াহিদ মিয়া বাদি হয়ে সোমবার বিকেলে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার সাথে পাশ্ববর্র্তী আলগীরচর গ্রামের মো. ইকবালের দীর্ঘদিন ধরে ডিম ব্যবসায়ের লেনদেনে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের বিচার দাবি করে মো. ওয়াহিদ মিয়া। গতকাল সোমবার উভয় পক্ষ তাদের লোকজন নিয়ে বিচার সালিসে উপস্থিত হয়। বিচার সালিস চলাকালে ইকবালের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে পাওনাদার মো.ওয়াহিদ। এক পর্যায়ে ইকবালের নেতৃত্বে হারুন অর রশিদ, কবির হোসেন, সাইদুল, মুছা, হানিফাসহ ১০-১২জনের একটি দল পাওনাদার মো. ওয়াহিদের ভাগিনা মো. মাসুম ও সালাউদ্দিনকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে পেয়ে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ অভিযোগের বাদি মো. ওয়াহিদ মিয়া বলেন, তার সঙ্গে মো. ইকবালের ডিম ব্যবসা ছিল। এ ব্যবসায়ের হিসাব নিকাশ শেষে তার কাছে আমার কাছে আড়াই লাখ টাকা পাওনা হয়। এ থেকে আমি ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। তারপরও ইকবাল আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অতিষ্ট হয়ে পরিষদ কার্যালয়ে বিচার দাবি করি। ওই সালিশ চলাকালে বাইরে আমার ভাগিনাদের পেয়ে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করে।
অভিযুক্ত ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হামলায় সে জড়িত না বলে দাবি করেছেন। তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ঘটনা ঘটাতে পারে।
বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, বিচার সালিস শুরু হওয়ার আগে বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ সালিসে স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন