শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ
       
শিরোনাম :
সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবস দাবায় সুদিন অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন, আনান রানার আপ সোনারগাঁওয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ জাল দলিলে অসহায় নারীর জমি দখলে ছাত্রলীগ নেতা, উদ্ধার করলেন সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার  সোনারগাঁওয়ে মামলায় জামিন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার দুইজন মোগড়াপারায় হিফজুল কোরআন আজান ও নাতে রাসূল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সোনারগাঁওয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  স্বাধীনতা ও জাতীয়  দিবসে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন স্বাধীনতা দিবসে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের নানা আয়োজন সোনারগাঁওয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হায়দারের উঠান বৈঠক সোনারগাঁওয়ে কিশোর ফয়সাল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

কিংবদন্তী সুরকার-গায়ক বাপ্পী লাহিড়ী মারা গেলেন

বিনোদন প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
সংগীত জগতে আরও এক নক্ষত্র চলে গেলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর মৃত্যুে কয়েক ঘণ্টার পর মারা গেছেন বর্ষীয়ান সুরকার-গায়ক বাপ্পী লাহিড়ী (৬৯ )। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। গত বছর তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। যদিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
পিটিআইকে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ দীপক নামজোশি জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনির কথা। তিনি জানান, বাপ্পি লাহিড়ি গত এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সোমবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তার একাধিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ছিল তাঁর। মধ্যরাতের কিছু আগে ওএসএ (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া) এর কারণে তিনি মারা যান।
বাপ্পী লাহিড়ী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম আলোকেশ বাপ্পী লাহিড়ী। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন একজন বাংলা সঙ্গীতের জনপ্রিয় গায়ক। মা বাঁশরী লাহিড়ীও ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়িকা, যিনি শাস্ত্রীয় ঘরাণার সঙ্গীত এবং শ্যামা সঙ্গীতে বিশেষ পারঙ্গমতা দেখিয়েছিলেন। তাদের পরিবারেরই একমাত্র সন্তান বাপ্পী লাহিড়ি।
তিন বছর বয়সেই তবলা বাজাতে শুরু করেন। তার মায়ের আত্মীয় হিসেবে ছিলেন – বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার এবং এস. মুখার্জী। পিতা-মাতার সান্নিধ্যে থেকেই তিনি সঙ্গীতকলায় হাতে খড়ি ও প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি ১৯ বছর বয়সে দাদু (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন।
বাপ্পী লাহিড়ী ১৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত হন। ১৯৭৩ সালে হিন্দী ভাষায় নির্মিত নানহা শিকারী ছবিতে তিনি প্রথম গীত রচনা করেন। এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এতে তিনি গীত রচনাসহ গায়কের দ্বৈত ভূমিকায় অংশ নেন। অসম্ভব কিছু নয় শিরোনামে মোহাম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের সঙ্গেও দ্বৈত সঙ্গীতে অংশ নেন। তার পরের চলচ্চিত্র হিসেবে চালতে চালতে ছবিটির গানও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রবিকান্ত নাগাইচের সুরক্ষা ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।
মিঠুন চক্রবর্তীর ডিস্কো নাচের চলচ্চিত্রগুলোতে তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮০’র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পী ল্যাহড়ী একসাথে বেশ কিছু ভারতীয় ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ ভারত থেকে পরিচালিত অনেক হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে অংশ নিয়েছেন। সমগ্র ভারতবর্ষে তিনি নিজেকে ‘ডিস্কো কিং’ নামে পরিচিতি লাভে সমর্থ হন। বাপ্পী ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে ১৯৯০’র দশকে দূরে সরে যান। প্রকাশ মেহরা’র ‘দালাল’ ছবিতে স্বল্প সময়ের জন্য ফিরে আসেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © Sonargaonnews 2022
Design & Developed BY N Host BD