নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে তার সহযোগীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার সকালে বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেল হাজতে রয়েছে। তার নিশর্ত মুক্তির দাবীতে তার অনুসারীরা এ মানববন্ধন করে। মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় চারটি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক ইসলাম মিয়ার দুই ছেলে জুয়েল ও সোহেলকে দুই কেজি গাঁজাসহ বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ইয়াকুব আলীর ছেলে রাজিব মিয়ার সহযোগিতায় আটক করে পুলিশ। আটককৃত জুয়েল ও সোহেলকে ছাড়িয়ে আনতে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা চাঁদা হিসেবে ফেরত দেওয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক রাজিবকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। টাকা না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। পরে রাজিব নারায়ণগঞ্জ আদালতে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ১৮ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার হয় মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক। বর্তমান সে জেল হাজতে রয়েছে।
ওমর ফারুকের মুক্তির দাবীতে তার সহযোগী সানু, আমানউল্লাহ, ওয়াসকুরুনী, তোতা মিয়া, নাজমুল নাসিরউদ্দিন বুধবার সকালে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে জোরপূর্বক নারী ও শিশুদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে দাড় করায়। এ নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানববন্ধনে বাধা দেয়। পরে পুলিশ তা পন্ড হয়ে যায়।
এদিকে মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ৩৪ নং মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর দায়ের করা ১৯ নং মামলায় অভিযুক্ত করে চার্জশীট দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল ২২ নং মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ৫৭ নং মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশের তালিকায় ব্যক্তির থিম হিসেবে তাকে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ওমর ফারুক একটি সিন্ডিকেট করে বারদী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে জমি দখল, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। তাদের কেউ গ্রেপ্তার হলে মানববন্ধন করে মুক্তি দাবি করে।
ভুক্তভোগী রাজিব মিয়া বলেন, সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে ওমর ফারুকের সহযোগী জুয়েল ও সোহেলকে মাদকসহ গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেছিলাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে তাদের ক্ষতি পূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমি আদালতে মামলা দিয়েছি। সেই মামলায় সে কারাগারে আছে। বর্তমানে আমি বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি। নিরাপত্তার অভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
আপনার মতামত দিন