শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ
       
শিরোনাম :
সোনারগাঁয়ের জনগনের ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই –সাবেক সাংসদ খোকা সোনারগাঁওয়ে করোনা যোদ্ধাকে নিয়ে অপপ্রচার ও  হত্যার চেষ্টার অভিযোগ, দোষীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  সোনারগাঁওয়ে বাড়ির মালিক ও তার ছেলেকে পিটিয়ে জখম, ভাড়াটিয়া শ্লীলতাহানি সোনারগাঁওয়ে লোক প্রযুক্তি ও পালকির গান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সোনারগাঁওয়ে তিনদিন ব্যাপী বউ মেলা চলছে সোনারগাঁওয়ে যাদুঘরে পক্ষকাল ব্যাপী বৈশাখি মেলা শুরু কাঁচপুরে কলেজ শিক্ষার্থী ছিনতাইকারী কবলে,  মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই বারদী সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ৬শ’ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সনমান্দিতে আড়াই হাজার শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  জামপুরে মাতৃভূমি সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যাগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

ভুয়া সাংবাদিকদের কু কর্মে , বিপাকে পেশাদাররা

আব্দুল আলীম ঃ
নারায়ণগঞ্জ  জেলা ও থানা এলাকায় ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি। গাড়িতে প্রেস লিখে করছে চাঁদাবাজি। তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকররা।  এছাড়া, তাদের মোটরবাইকেও লাগানো থাকে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার। এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় এটা কি টেলিভিশন চ্যানেলের বুঝা বড় দায় এখনত শত শত ইউটিউব টেলিভিশন চ্যানেলের বের হয়েছে তা কোনটা আসল আর কোনটা নকল বুঝা বড় দায়।
 এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদের সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না৷ এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝে মধ্যে বিভ্রান্ত হন৷
তারা অনেকেই দামি গাড়িতে চলা-ফেরা করে৷ আর ক্যামেরায় জাল স্টিকার লাগিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে৷
নারায়ণগঞ্জের  কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক জানান, শুধু পুলিশকে উদ্যোগ নিলেই হবে না, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকে ভুয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়তো সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে আর পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন৷
এদের মধ্যে ট্রাক চালক, সিকিউরিটি গার্ড ব্যবসায়ী, কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ , দারোয়ান, পান ও বাদাম  বিক্রেতাও রয়েছে।
পেশাদার সাংবাদিকরা মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়ন থাকলে এটি সম্ভব ছিল না।
রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা করছে
তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। অনেকে থানায় দালাল হিসেবে আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে মধ্যস্থতা করে থাকে।
এসকল ভূয়া সাংবাদিকদের আখড়া এখন  নারায়ণগঞ্জের  সাইনবোর্ড  চিটাগাং রোড মদনপুর  এলাকায়।
 সম্প্রতি দেখা যায়  নারায়ণগঞ্জের  এলাকায় কোন পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে সেখানে অবস্থিত কথিত ভূয়া সাংবাদিকরা সেই ব্যাক্তির কাছে গিয়ে চাঁদাদাবি করে, এমনকি প্রতিবাদ ছাপিয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আরো অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় কতিপয় হকার, পুলিশের র্সোস নিজেদের সংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপর্কম করে বেড়াচ্ছে আর এদের সহায়তা করে থাকে কতিপয় অসৎ পুলিশ সদস্য আর এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা বেকায়দায়  পরছে আর পুলিশ সদস্যরা হারাচ্ছে তাদের বাহিনীর সম্মান।
ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে।
সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশও অতিষ্ঠ।
থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ। এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে  প্রেস  ও সাংবাদিক  লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক পাচার এমনকি রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ককটেল ও বোমাও বহন করছে।
সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়।
তা ছাড়া ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিসগুলো সাংবাদিক পরিচয়পত্র বিক্রি করে থাকে। এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে সাংবাদিক  বা প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘোরে একশ্রেণীর লোকজন।
এদের কাজ হলো অবৈধ কারথানা থেকে শুরু করে ফুটপাত এ ২০ থেকে ৫০ টাকার চাদাবাজী করা আর রাত হলে থানার গেইট বিভিন্ন মামলার তদবির করে যা কামানো যায় বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে গেলে দেখা যায় শত শত নামধারী সাংবাদিক দিনের বেলায় সোর্স আর রাতের বেলা সাংবাদিক।
অভিযোগ রয়েছে এদের কারনে পুলিশ সদস্যরাও কাজ কর্ম করতে সমস্যার সম্মুখিন হন।
নারায়ণগঞ্জে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেয়া এসব ব্যক্তির হাতে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তারা শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকা বা অনলাইনের আইডি কার্ড বহনই করেন না বরং মূল ধারার জাতীয় দৈনিক কিংবা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষকে জিম্মি করছেন।
বেশ কিছু ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকা এবং অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে খোদ পুলিশেরও অনেকটা ভুমিকা রয়েছে। কারণ, পুলিশের সঙ্গেই ওইসব ভূয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বেশি সখ্যতা।
এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ!
 ‘ভুয়া মানবাধিকার কর্মি আর ভূয়া সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও এন্তার অভিযোগ উঠেছে।
 সাংবাদিক পরিচয়ে এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, দোকানপাট দখল, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবড়ে বেড়ায়।
এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন। ভূয়া সাংবাদিক আর কথিত মানবাধিকার কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে এফবি খোললেই কোন কথাই নেই সাংবাদিক আর মানবাধিকার নেতার অভাব নেই। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন।
অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ভূয়া মানবাধিকার সংগঠন। যার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ভূয়া মানবাধিকার সংগঠনের কারনে মানবাধিকার শব্দটি আজ আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কারনে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ মানবাধিকার এর উপর থেকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে।
মানবাধিকারের একটি চক্র জেল থেকে আসামী ছাড়ানো এবং নির্যাতিত মানুষকে আইনী সহায়তা প্রদানের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি  দেশ ব্যাপী চলছে তাদের কার্ড বাণিজ্য। যাদের মানবাধিকার সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞানও নেই তাদের হাতে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীর আইডি কার্ড। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থানা কমিটি এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি গঠনের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে।
ব্যাঙের ছাতার মতো  দেশে খুলে বসেছে শাখা প্রশাখা, এমনও অনেক সংগঠন আছে যারা সরকারের কোন সংস্থারই অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধু মাত্র প্রেস লেখা আইডি কার্ড কেনাবেচাই যাদের মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার নামক সংস্থায় কাজ করে মুরগী আর পান ব্যবসায়ী, পেশাদার ছিনতাইকারীরা নামের আগে পিছে বসাচ্ছে সাংবাদিক।
 নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙ্গে, সাংবাদিক বলতে গেলে উচ্চারণ করে বসে সামবাদিক, নিজের সংগঠনটির নাম পর্যন্ত বলতে পারে না-তারাই রাতারাতি মানবাধিকার-সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন।
 সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলে পড়ছেন সেখানে।
প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যাল্যু আছে কি না, সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। তাদের দরকার নিজেদের প্রতাপ দেখিয়ে, আতংক ছড়িয়ে টুপাইস কামিয়ে নেয়া। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লাপাল্লা, হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব কান্ডই ঘটিয়ে থাকেন তারা।   প্রত্যন্ত পল্লীর সাধারণ বাসিন্দারা পর্যন্ত কথিত সাংবাদিক কার্ডধারী ভূয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, তটস্থ থাকছেন।
পেটে বোমা ফাটালেও দু’ লাইন লেখার যোগ্যতাহীন টাউট বাটপারের দল চাঁদাবাজিতে সিদ্ধান্ত। ভূয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য নতুন নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এখনই সময় এসেছে  পেশাদার প্রকৃত সাংবাদিকরা ঐক্য বদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করুন।
সুত্র ঃ ফেসবুক থেকে নেয়া 
পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © Sonargaonnews 2022
Design & Developed BY N Host BD