নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের হামলায় নারায়ণগঞ্জর সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গত ২৪ শে এপ্রিল বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (জেনারেল স্টোর)কর্মরত অবস্থায় সে ডাকাতদের হাতে খুন হয়। ডাকাতদল তার হাত পা বেঁধে মুখমণ্ডলে প্লাস্টিক পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। নিহত যুবকের নাম আসিফ ইকবাল কামাল (৫০)।
তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁপ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামে। সে স্থানীয় গোহাট্টা মিয়া বাড়ির মৃত খলিল মিয়ার তৃতীয় ছেলে। বিগত ১০ বছর পূর্বে স্ত্রী ও কন্যাকে রেখে সে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সম্প্রতি সে বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীক চাপে সে আসতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো ভাই স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম মাহমুদ ও ভাগ্নিনা সিফাত গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
নিহতের ভাগিনা সিফাত সোনারগাঁও নিউজকে জানান, তার মামা আসিফ ইকবাল কামাল দক্ষিণ আফ্রিকার হিয়াভুসা এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে তার মামার দোকানটিতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতদল তার মামার হাত-পা বেঁধে মুখমণ্ডল পলিথিন দিয়ে আটকে ফেলে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে ডাকাতদল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ অর্থ ও দোকানের মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
ভাগিনা সিফাত আরও জানান, তাদের এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দ্রুত নিহত ব্যবসায়ী আসিফ ইকবাল কামালের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দক্ষিন আফ্রিকার একটি সূত্র জানায়, বিগত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাত দল হানা দেয়। ওই ডাকাতদল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার লাকি হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে। লাকি হোসেনের হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ডাকাতদের হাতে খুন হলেন আরেক রেমিটেন্স যোদ্ধা আসিফ ইকবাল কামাল।
নিহত ব্যবসায়ী আসিফ ইকবাল কামালের পরিবার জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় একের পর এক প্রবাসী ব্যবসায়ীদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এব্যাপারে ওই দেশের সরকার তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দেশের সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর আবেদন জানানো প্রয়োজন।
আপনার মতামত দিন