শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামপুর :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জামপুর ইউনিয়নের ওটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশারীদের সহযোগিতায় ব্যক্তিমালিকানা জমি দখল করে জোরপূর্বক দখল করে এ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলামের আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে পুনরায় জমির মালিক শহীদুল্লাহ টিটু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ৬জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ওটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শহিদুল্লাহ গং পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। ওই জমিতে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করেন। সেই গাছ কেটে ওটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জরিনা বেগম, স্থানীয় প্রভাবশালী লিপন চৌধুরী, লিটন চৌধুরী, জিসান চৌধুরী, আওলাদ চৌধুরী ও দেওয়ান কামালসহ ১০-১২জনের একটি দল সেই গাছ কেটে জমি দখল করে। দখল করা জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে শহিদুল্লাহর বড় ভাই মো. সেলিম ভূঁইয়া বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বিবাদীদের তলব করে। আদালতের তলবে সাড়া না দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। এঘটনায় গত ১১জুলাই নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলামের আদালত নির্মাণ কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক জরিনা বেগম। এছাড়াও সেখানে রাখা স্বপন নামের এক ব্যক্তির ইট, বালি ও রড লুট করে সেই নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত ওটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জরিনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের নোটিশ পেয়েছি। নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় বন্ধ করা হয়নি। আদালতের সেই নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. দৌলতর রহমান বলেন, আদালতের আদেশের প্রতি সকলের শ্রদ্ধা থাকা বাঞ্চণীয়। স্কুলের সম্পত্তি উদ্ধারে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা থাকবে এটা স্বাভাবিক। তবে আদালতের প্রতি শ্রতি অনুগত থাকতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ সোনারগাঁও নিউজকে জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হবে না। আদালতের আদেশ মেনেই কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত দিন