বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ অপরাহ্ন
মনির হোসেন, জামপুর প্রতিবেদক :
মদনগঞ্জ-নরসিংদী সড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জামপুরের মালিপাড়া এলাকায় দু’পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মালিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাউদ সুমন শফিউল্লাহর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে রেলওয়ে পুলিশের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এসময় ২০-৩০টি দোকান ঘর উচ্ছেদ করেই অভিযান শেষ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানকে দায়সাড়া অভিযান বলে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। এ উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় রমজানে নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসময় সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, সালাউদ্দিনসহ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলার মদনগঞ্জ- নরসিংদী সড়কে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি লীজ না নিয়েই অবৈধভাবে স্থাপনা ও মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ওই এলাকার প্রভাবশালীরা। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দিন দিন বেহাত হয়ে যাচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান লোক দেখানো। তালতলা এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন, সেগুলো উচ্ছেদ করেন নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র রাস্তার পাশে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে চা, পান সিগারেট ও জ্বালানি কাঠের ব্যবসা করছেন সেগুলো উচ্ছেদ করেছেন। এ রহস্যজনক উচ্ছেদ মেনে নেওয়া যায় না।
তালতলা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী সোনারগাঁও নিউজকে জানান, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি জামায়েত নেতা মুজিবুর রহমান ও ফিরোজ মিয়া উচ্ছেদ অভিযান তালতলা বাজারে ঠেকানোর জন্য প্রতি দোকান থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্রায় ৬ লাখ টাকা রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়েছেন। ফলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা তালতলা বাজারের অবৈধ স্থ্পানায় এ অভিযান পরিচালনা করেননি। শুধু মালিপাড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চলে যান।
অভিযুক্ত মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার বলেন, আমি টাকা উত্তোলন করিনি। রেলওয়ের দখল করা জায়গা আমি লিজ নিয়েছি। ফলে তারা এ দোকানপাট উচ্ছেদ করে নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল এ্যাস্টেট অফিসার ও সাউদ সুমন শফিউল্লাহ সোনারগাঁও নিউজকে বলেন, উৎকোচ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকায় অবৈধ স্থাপনা আস্তে আস্তে উচ্ছেদ করা হবে। তবে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন