শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
আজ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সোনারগাঁও মুক্ত দিবস। মুক্ত দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। র্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।
এ দিনে সোনারগাঁও হানাদার মুক্ত হয়। ৫০ বছর আগে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে সোনারগাঁওয়ের তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পাক হানাদারদের কাছ থেকে মুক্ত করেছিল সোনারগাঁওকে। মুক্ত দিবসে তৎকালীন সময়ের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম অ্যাডভোকেট সাজেদ আলী মিয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোবারক হোসেনকে শ্রদ্ধাভরে সোনারগাঁওবাসী স্মরণ করে।
১৩ ডিসেম্বর রাতেই মিত্রবাহিনী অবস্থান নেয় সোনারগাঁওয়ে। মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে পাক হানাদাররা তাদের দোসরদের রেখে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ১৩ ডিসেম্বরকে সোনারগাঁও মুক্ত দিবস ঘোষনা করেন। রাজধানী থেকে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট ও চট্টগ্রাম বন্দরগামী ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে সড়কটি মুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে লাঙ্গলবন্ধ সেতুর উপর অবস্থানরত পাক হানাদরদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সোনারগাঁওয়ের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তী পর্যায়ে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেয় পানামগামী রাস্তার দু’পাশে। সারাদিন ব্যাপী ওই যুদ্ধে শহীদ হয় মজনু মিয়া। তার সম্মানে সোনারগাঁওয়ে একটি পার্কের নামকরণ করা হয়েছে “শহীদ মজনু পার্ক”।
পাক বাহিনী যাওয়ার পূর্বে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পিরোজপুর গ্রাম। নৃশংসভাবে হত্যা করে ওই গ্রামের নুরু মিয়া, আব্দুর রহমান, ফজলুল হক, আবু মিয়া ও আয়েত আলীকে। সেদিন সোনারগাঁও মুক্ত করতে যুদ্ধে অংশ নেন মরহুম মোবারক হোসেন, কামন্ডার নুরু মিয়া বাচ্চু, ফুলু মিয়া, রুহুল আমিন বাদশাহ, জিয়াউল ফারুক, শফিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, ওসমান গনি, মনিরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, গোফরান, আব্দুল হাই, মোহাম্মদ হোসেন, আজিজুর রহমান, বাবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলীসহ আরো অনেকে।
সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি সোনারগাঁও নিউজকে জানান, দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন