নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে করোনা যোদ্ধা সানাউল্লাহ বেপারীকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গাজী আওলাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মোবারকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত গাজী আওলাদ হোসেনে বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রয়াত গাজী আবু তালেবের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত গাজী আওলাদকে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তারকৃত গাজী আওলাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও নারী নির্যাতন, দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ সোনারগাঁপ থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজহার থেকে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে করোনা যোদ্ধা মো. ছানাউল্লাহ বেপারীর সঙ্গে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী আবু তালেবের ছেলে গাজী আওলাদের সঙ্গে বালু ভরাট নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল। গত ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। মোবারকপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে আগ্নে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি করতে সেখানে গিয়েছে বলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় সানাউল্লাহ বেপারী ওই রাতেই সোনারগাঁ থানায় তিন ভাইকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর মোবাইল ফোনে ধারণ করা সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় গ্রেপ্তারকৃত গাজী আওলাদ হোসেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় গত ১৫ এপ্রিল মামলা গ্রহন করে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী গাজী আওলাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, সানাউল্লাহ বেপারী করোনা কালীন সময়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা, খাদ্য ও ঔষধপত্র মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছেন। সোনারগাঁয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬৩জনের লাশ দাফন করেছেন। ব্যবসায়ীক দ্বন্ধে তাকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতি করতে গিয়েছে এমন স্বীকারোক্তী ভিডিও ধারণ ন্যাক্কারজনক।
সোনারগাঁও থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম বলেন, অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা মামলা প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন