নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মারীখালী নদ দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। স্থাপনা নির্মাণে নদের জায়গা ও সরকারি (খাস) জমি দখল করেছেন। এতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে নদী ছোট হয়ে আসছে এবং নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজার এলাকা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের দিকে বয়ে চলা মারীখালির নদীর রঘুভাঙ্গা এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোজাম্মেল হোসেন। সে নদী দখল করে একটি তিনতলা বাড়ি নির্মান এবং নদী তীর সংলগ্ন সরকারি খাস জমি দখল করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলছে।
জানা যায়, মোজাম্মেল সোনারগাঁও পৌরসভার সাহাপুর মৌজার ১৬১ ও ১৬২ দাগে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরে সে তার ক্রয়কৃত জমিতে বিল্ডিং নির্মান না করে নদী দখল করে একটি তিনতলা বাড়ি নির্মান করে। এলাকাবাসী দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মামলা হামলায় ভয় দেখান।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, মোজাম্মেল হোসেন তার নিজের জমিতে বিল্ডিং না করে অবৈধভাবে সরকারি জমিতে নির্মান করেছে। বর্তমানে সে আমাদের কয়েকজনের ক্রয়কৃত জমি ও সরকারি খাস খতিয়ানের জমি দখল করতে আমাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে। সে জমি দখল করতে কয়েকবার আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। সে থানা, আদালত, শালিস বিচারের রায় না মনে জোড়পূর্বক জমি দখলের পায়তারা করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোজাম্মেল হোসেন সরকারি সম্পত্তি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তিনি দখলদারিত্ব করছেন।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, খাসের বিরুদ্ধে আমি ২০০০ সালে আদালতে মামলা করেছি। আমি আদালতের মাধ্যমে জমি ফেরত চেয়ে এ পর্যন্ত চারটি মামলা করেছি যা আদালতে চলমান। যেহেতু আমি মামলা করেছি তাই খাস জমি আমার।
সোনারগাঁও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম বলেন, কোনভাবেই সরকারি খাস সম্পত্তি ও নদের জায়গা দখল করতে দেওয়া যাবে না। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন