বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাওয়ে পশুর হাট জমে উঠেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পশু উঠতে শুরু করেছে। এবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে লম্বু ও হাম্বু নামের আমেরিকান ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় গরু। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে এ দুটি ষাঁড়। এ দুটি ষাড় যে কোন হাঁট কাপাবে বলে জানিয়েছেন মালিক মোতাহার হোসেন খোকন।
সোনারগাঁওয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামের খামারী মোতাহার হোসেন খোকনের খামারে এ দুটি ষাড় মোটাতাজাকরণ করেছেন। হাম্বুর ওজন ১২শ’ কেজি ও লম্বুর ওজন প্রায় ১৪শ’ কেজি। একেকটি ষাঁড়ের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এ বছর ৯৮৪ জন খামারী সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামে কোরবানীতে বিক্রির জন্য পশু মোটাতাজাকরন করেছেন। করোনা মহামারীর দুই বছরের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে চান তারা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন কোরবানীর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খামারি মোতাহার হোসেন খোকনের মালিকানাধীন ফাতেমা এগ্রো ফার্মে গত চার বছর ধরে খামারে ফ্রিজিয়ান ষাড় হাম্বু ও লাম্বু নামে দুটি ষাঁড়সহ বিভিন্ন জাতের ৫০টি ষাড় লালন পালন করছেন। তার খামারে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা গরু ক্রয় উদ্দেশ্যে দেখতে আসছেন। ইতোমধ্যে বস্তল গ্রামের গোলজার ভ‚ঁইয়ার মালিকানাধীন আবিদ এগ্রো ফার্মে এ বছর কোরবানীর জন্য বিভিন্ন জাতের ১৩০টি ষাড় মোটাতাজাকরণ করেছেন। তার খামারে সবচেয়ে বড় ষাড়টির ওজন প্রায় ১২শ’ কেজি। তিনি ষাড়টির দাম হাকিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ও তাদের খামারে ষাড়ের পাশাপাশি উন্নত জাতের দুম্বা ও উন্নত জাতের ছাগল পালন করছেন।
সরেজমিন সোনারগাঁওয়ে বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারীরা বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য পশু গুলো প্রস্তুত করেছেন। গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম হতে পারে। তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের মোটাতাজাকরণ পশু বিক্রিতে লাভের মুখ দেখা যেতে পারে। পশু গুলোর খাবারের তালিকায় খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ হাবিব জানান, সোনারগাঁওয়ে এ বছর কোরবানীতে পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ হাজার। মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে খামারিরা যোগান দিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার। বাইরের পশু দিয়ে চাহিদা মেটাতে হবে। এ বছর সোনারগাঁও উপজেলায় ১৭টি হাটে পশু বিক্রি করা হবে।
আপনার মতামত দিন