বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটে। বুধবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭ এর সাথে ধাক্কা লেগে বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এতে মোতালেব মিজি (৫৫) নামে বাল্কহেড এর লস্কর নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল নিখোঁজের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘনা নদীতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও সন্ধ্যা ৬ টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজের কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। বন্দরের কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৭ বুধবার রাত ১১ টার দিকে চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে দারুল মাকাম-৩ নামের বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এছাড়া লঞ্চের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। সামনের অংশে ছিদ্রও হয়ে। অর্ধ সহ¯্রাধিক যাত্রীসহ লঞ্চটি তীরে নিরাপদে নোঙ্গর করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সদরঘাট থেকে এম ডি কীর্তন খোলা ১০ নামে লঞ্চ রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এদিকে চাঁদপুর থেকে ডেমরাগামী বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে গেলে বাল্কহেডে থাকা ৬ জনের মধ্যে ১ জন নিখোঁজ হয়। ৬ জনের মধ্যে সুকানি সবুজ (৩২), গ্রিজার মোঃ আক্তার (১৮), বাবুর্চি আব্দুল খালেক (৬৫) ও লস্কর ইমরান (২০) তীরে উঠতে সক্ষম হন। এ চারজন কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রয়েছেন। আর লস্কর মোঃ হৃদয় (১৮) লঞ্চে উঠে পালিয়ে যায়। অপর লস্কর মোতালেব মিজি নিখোঁজ হয়।
লঞ্চটির মালিক রিয়াজুল কবির জানান, রাতে বাল্কহেড চলাচল নিষেধ করা হলেও অবৈধভাবে বাল্কহেড চালিয়ে লঞ্চকে ধাক্কা দেয়া হয়েছে। বাল্কহেডের ধাক্কায় সুরভী-৭ লঞ্চের সামনের দিক ফেটে গেছে। তলা ফেটে যাওয়ায় এটি চরে নোঙর করে যাত্রীদের কীর্তনখোলা-১০ নামের একটি লঞ্চে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়া বাল্ডহেডের সুকানি সবুজ জানান, লস্কর মোতালেব বালুবাহী জাহাজের ভেতরে আটকা পড়ে যায়। সে বের হতে পারেনি।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জহিরুল হক জানান, নিখোঁজ লস্কর মোতালেব মিজি বরিশালের ভোলার ঢুলারহাটের নুরাবাদ গ্রামের রফিজুল হক মিজির ছেলে। ডুবে যাওয়া দারুল মাকাম-৩ জাহাজটির মালিক ডেমরার মোহাম্মদ সুমন। বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল নিখোঁজের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার তৎপরতা চলে। উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিখোঁজ এর উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত দিন