শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা পরিষদে হাটের ইজারার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনিকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামী করা পাল্টা এ মামলা দায়ের করা হয়। গত শনিবার রাতে সোনারগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক ফারুক আহমেদ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে সোহাগ রনির সমর্থক সিরাজুল ইসলাম সজল বাদি হয়ে নান্নুকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার একদিন পর শনিবার বিকেলে নান্নু সমর্থক পাল্টা এ মামলা দায়ের করেন। উভয় পক্ষের মামলার কারনে মোগরাপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আবারও সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
ফারুক আহমেদের মামলায় আসামী করা হয়েছে সোহাগ রনি,সোহেল, শাহ আলম, শাহ জামাল তোতা, সিরাজুল ইসলাম সজল, আলমগীর, মিন্টু, পারভেজ, লিজন, আলাউদ্দিন, মিঠু , জসিম, গাজী জাবেদ , গাজী খলিল মেম্বার, সেলিম , আব্দুল আলী, মো. রানা, গাজী সামসুদ্দিন, নাছির ওরফে নাছিম, মেহেদি, শাহজালাল, অর্ণী আলম, সঞ্জল চন্দ্র ঘোষ , রিটু, শেখ আমান, ওয়ালিদ, ইয়াছিন আরাফাত ও আদনান।
মামলার বাদী ফারুক আহমেদ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফারুকসহ আরো কয়েকজন গত ১৬ ফেব্রæয়ারি টেন্ডার দাখিলের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে যাচ্ছিলেন। এসসয় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে করে সোনারগাঁও চৌরাস্তা বাজার এলাকায় তাদের গতিরোধ করে আসামীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামীদের হাতে ধারালো চাকু, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার রড ছিল। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামীদের তাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন সোহাগ রনি। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কাইকারটেক হাটের ইজারার দরপত্র জমা দিতে পারবো না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আসামীরা তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে। এ সময় প্রতিবাদ করায় কিলঘুষি লাথি মেরে লীলা ফুলা জখম করে। পরে চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। হামলায় তার সাথে থাকা তার ছেলে রোবায়েত, ভাই ডা.আক্তার হোসেন ও চাচাতো ভাই রাজিব প্রধানকে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
অভিযুক্ত সোহাগ রনি বলেন, হাটের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বাঁধা দিয়ে আমার লোকজনের উপর নান্নু সমর্থকরা হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়েআহত করেছে। এ ঘটনায় মামলা করার পর আমার লোকজনের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা দায়ের করেছে। নান্নু আমার ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে আমাকে মোবাইল ফেনে হুমকি দিয়েছিল। ওই অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ফাঁস হয়ে ভাইরাল হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন