বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সভাপতিত্বে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে এ মেলা শুরু হবে।
রোববার বিকেলে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক এসএম রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবহমান গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিবছরই মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আয়োজন করে থাকে।
ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ানুল ইসলাম, সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আবু নাইম ইকবালসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এসময় সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে আয়োজিত মাসব্যাপী এ লোক কারুশিল্প মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বাইস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বাহারী পণ্য সামগ্রীর প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। মাসব্যাপী উৎসবে প্রতিদিন লোকজ মে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণ খেলা, কর্মরত কারুশিল্পীর করু পন্যের প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলাকালীন সময়ে ওই এলাকার যানজট, আইনশৃঙ্খলা ও খাদ্যের মূল্য তালিকা নিয়ে মতবিনিময় সভায় আলোচনা করা হয়। মেলা আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া মেলা ১৬ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত মাসব্যাপী চলবে।
ফাউন্ডেশন সূত্র জানান, এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ২৪টি স্টলসহ ১০০টি স্টাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অ লের প্রথিতদশা ৪৮ জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। এ বছর সোনারগাঁয়ের দারুশিল্পের কারুকাজ, হাতি ঘোড়া, মমী পুতুলের বর্ণালী-বাহারি পণ্য, জামালপুরের তামা-কাঁসা-পিতলের শৌখিন সামগ্রী, সোনারগাঁয়ের বাহারি জামদানি শিল্প, বগুড়ার লোকজ বাদ্যযন্ত্র, কক্সবাজারের শাঁখা ঝিনুক শিল্প, ঢাকার কাগজের শিল্প, রাজশাহীর মৃৎশিল্প -মাটির চায়ের কাপ, শখের হাঁড়ি, বাটিক শিল্প, খাদিশিল্প, মণিপুরী তাঁতশিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি শিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশ- বেতের কারুপণ্য, সিলেটের বেতশিল্প, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুজনি কাঁথা, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা পুতুল, খাগড়াছড়ি ও মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র-নৃ- গোষ্ঠীর কারুপণ্য, মৌলভীবাজারের বেতের কারুশিল্প, ঠাকুরগাঁয়ের বাশেঁর কারুশিল্প, মাগুড়া ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, পাটজাত কারুপণ্য, লোকজ অলংকার শিল্প, নাগর দোলা, বায়স্কোপ ও মিঠাই মন্ডার পসরা থাকলে ষ্টলগুলোতে।
আপনার মতামত দিন