নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ছযজনকে জীবিত উদ্ধার হলেও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া ঘাটের অদূরে চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন সাব্বির হোসেন, রিয়াদ হোসেন, সুমনা আক্তার, তার দুই মেয়ে জান্নাতুল মারওয়া ও সাফা। এর মধ্যে ১ জনের পরিচয় জানা যায়নি।
আর উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মফিজুল ইসলাম, শিরিন আক্তার ও ট্রলার চালক রফিক মিয়া।
নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া যাত্রী রিয়াদ হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর এলাকা থেকে ১১ জন আত্মীয়-স্বজনজন মিলে সোনারগাঁওয়ে চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় ভ্রমণের জন্য এসেছিলেন তারা। ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যায় তারা ট্রলারযোগে গজারিয়ায় ফিরে যাচ্ছিলেন। তাদের ট্রলারটি মাঝনদীতে পৌঁছালে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় অন্যরা তীরে পৌঁছাতে পারলেও নিখোঁজ হন ছয়জন। এদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, আমার ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে পরিবার নিয়ে দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বাড়িতে আসেন। শুক্রবার বিকেলে ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন। নদীতে ঘুরাঘুরি শেষে ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে আমার ভাই মফিজুল ইসলাম ছাড়াও তার স্ত্রী সুমনা, দুই মেয়ে সাফা ও মারওয়া, তার খালা শ্বাশুড়ি, এক ভায়রা ও তার বাচ্চা, ভাগনি-ভাতিজি, ট্রলারচালকসহ ১২ জন ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। শুনেছি কয়েকজন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে আমার ভাই মফিজুল ইসলাম এবং ভাগনি শিরিন আক্তার মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।’
ফায়ার সার্ভিস মুন্সীগঞ্জ সদর ইউনিটের লিডার মনিরুজ্জামান খোকন জানান, নিখোঁজদের মধ্যে চারজন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় অভিযান চালানো যাচ্ছে না। সকাল হলে আমাদের অভিযান তৎপরতা চলবে।
গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইজাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই আমরা খবর পাই, তবে নৌকা ম্যানেজ করতে না পারায় এবং নদীতে ঢেউ থাকায় আমাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে একটু দেরি হয়।
আপনার মতামত দিন