নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও পুকুরপাড় এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার তিনদিন পর ওই কিশোরীর মা মোসাঃ ছালমা বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে এ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আক্তার হোসেন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
থানায় দায়ের করা এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও পুকুরপাড় এলাকার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. আক্তার হোসেন(৪০) দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে খেলাধুলা করার সময় প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতো। গত ১৫ আগষ্ট রাত ৯ টার দিকে তার মা ওই কিশোরীকে বাসায় একা রেখে পাশ্ববর্তী হিজল তলা বাজারে সদাই আনতে যান। এ সুযোগে আক্তার হোসেন ঘরে ঢুকে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই কিশোরীকে কামড়ে আহত করে। এক পর্যায়ে কিশোরী চিৎকার দিলে লোকজন আসতে থাকলে অভিযুক্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই কিশোরীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার তিন পর শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁওথানায় মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী কিশোরীর মা মোসাঃ ছালমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন তার মেয়েক উক্তত্ত্য করে আসছে। তাকে এ বিষয়ে একাধিকবার বারন করা হয়েছে। তার মেয়ে বাড়ি পাশে খেলা করলেই সেখানে সে উপন্থিত হয়ে অশ্লীল কথা ও অঙ্গভঙ্গি করে। এখন সে সীমা লঙ্ঘন করে মেয়ের সর্বনাশ করতে চেয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করি।
তিনদিন পর মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করে কোন প্রকার বিচার পাইনি। সর্বশেষ তাদের পরামর্শে মামলা করতে হয়েছে।
অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এলাকার গিয়ে তার সন্ধান করলে সে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ সোনারগাঁও নিউজকে জানান, কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
আপনার মতামত দিন