বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ
       
শিরোনাম :
সোনারগাঁওয়ে করোনা যোদ্ধাকে নিয়ে অপপ্রচার ও  হত্যার চেষ্টার অভিযোগ, দোষীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  সোনারগাঁওয়ে বাড়ির মালিক ও তার ছেলেকে পিটিয়ে জখম, ভাড়াটিয়া শ্লীলতাহানি সোনারগাঁওয়ে লোক প্রযুক্তি ও পালকির গান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সোনারগাঁওয়ে তিনদিন ব্যাপী বউ মেলা চলছে সোনারগাঁওয়ে যাদুঘরে পক্ষকাল ব্যাপী বৈশাখি মেলা শুরু কাঁচপুরে কলেজ শিক্ষার্থী ছিনতাইকারী কবলে,  মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই বারদী সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ৬শ’ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সনমান্দিতে আড়াই হাজার শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  জামপুরে মাতৃভূমি সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যাগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ঈদের দিন পর্যন্ত আমরা সবাই মাঠে কাজ করে যাবো–হাইওয়ে পুলিশ প্রধান

সোনারগাঁওয়ে সাব রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আলী আজগরের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস ধরে এ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে তিনি এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলিল লিখকরা। তার অনিয়মের কারনে সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। তিনি সকল প্রকার দলিলে খাজনা, নামজারি, ডিসিআর ছাড়া দলিল নিবন্ধন করেন না। এছাড়াও তিনি সময় ক্ষেপন করে দলিল নিবন্ধন করায় বিকেল তিনটার পর প্রতি দলিলে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে থাকেন। এ অনিয়মের সহযোগিতা করেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কেরানী সবিতা রানী দত্ত ও নকল নবিশ অজিত চন্দ্র দাস। সাব রেজিষ্ট্রারের এসব কর্মকান্ডে দলিল লিখক থেকে শুরু করে দলিল দাতা ও গ্রহিতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিলের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। ফলে সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, সোনারগাঁও সাব রেজিষ্টার আনম বজলুর রশিদ মন্ডল ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বদলি হওয়ার পর থেকে এ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কোন সাব রেজিষ্ট্রারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে জমি কেনা বেচা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২২ ডিসেম্বর আড়াইহাজার সাব রেজিষ্ট্রার মো. আলী আজগরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে কয়েকদিনের দলিল জমে থাকার কারনে দলিল নিবন্ধন সংখ্যা দীর্ঘ হয়। তিনি সোনারগাঁও সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের প্রথম দিনেই বিকেলে সোনারগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় দলিল নিবন্ধন করেন। বিশৃঙ্খলা এড়ানোর অজুহাত দেওয়া হলেও দলিল লিখকদের দাবি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছেন। তিনি তিনটার পর কোন দলিল না করার ভয় দেখান। তিনি তার সহকারী ওমেদার হাফেজুর রহমান হাফেজের মাধ্যমে প্রতি দলিলে ৩ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করে রাত ১০টা পর্যন্ত দলিল নিবন্ধন করেন।

সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ মোতাবেক আরএস রেকর্ড মূলে মালিক হলে দলিল নিবন্ধনে কোন খাজনা, নামজারি ও ডিসিআর লাগবে না। দলিল মূলে মালিক হলে শুধুমাত্র ডিসিআর ও নামজারি জমা ভাগ লাগবে। আমমোক্তার, বিনিময়, বন্টন, দানের ঘোষনা, হেবা ঘোষনা, বিলওয়াজ হেবা, অছিয়ত, ভুল সংশোধন, ঘোষনা পত্র, না দাবি ক্ষেত্রে খাজনা, নামজারি ও ডিসিআর লাগবে দলিল নিবন্ধনে এমন কোন অধ্যাদেশ জারি হয়নি। সাব রেজিষ্ট্রার মো. আলী আজগর অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি নিজের মনগড়া আইন তৈরি করে দলিল লিখক, দাতা ও গ্রহিতাকে চাপিয়ে দিয়েছেন। সাব রেজিষ্ট্রারের নিয়ম মতো কোন দলিল না হলেই তিনি দলিল নিবন্ধনে তালবাহানা শুরু করেন। তার দাবিকৃত টাকা কেরানী সবিতা রানী দত্ত ও নকল নবিশ অজিত চন্দ্র দাসের কাছে জমা করার পর পেন্সিলের মাধ্যমে নাম্বার সংকেত দিলেই তিনি দলিল নিবন্ধন করেন। এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে দলিল লিখক, দাতা ও গ্রহিতারা।

আমির হোসেন নামের এক গ্রহিতা জানান, ১৭ কোটি টাকার একটি বন্ধকী দলিল নিবন্ধন করতে সাব রেজিষ্ট্রার সরকারী ফি বাদে ওমেদার হাফেজুর রহমান হাফেজের মাধ্যমে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন।

মানিক মিয়া নামের অপর এক গ্রহিতার অভিযোগ, বায়নারত দলিল বাতিল করার জন্য এক সপ্তাহ ঘুরিয়ে অবশেষে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে দলিল নিবন্ধন করেন সাব রেজিষ্ট্রার মো. আজগর আলী।

দলিল লিখক আলী হায়দার সোনারগাঁও নিউজকে জানান, সাব রেজিষ্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে এসে আরো বেশি হয়রানী হতে হচ্ছে। তার সংকেত ছাড়া কোন দলিল নিবন্ধন হয়না। সরকারী আইনের কোন তোয়াক্কা না করে তিনি তার মনগড়া আইন তৈরি করে করে হয়রানী করছেন।

সোনারগাঁও দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ সরকার সোনারগাঁও নিউজকে জানান, সাব রেজিষ্ট্রার সকল দলিলে এমন করেন না। তবে কিছু কিছু দলিলে এমন সমস্যা সৃষ্টি করেন।

সোনারগাঁও সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কেরানী সবিতা রানী দত্ত সোনারগাঁও নিউজকে জানান, আমি শুধু সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে স্যারের কাছে দলিল পাঠিয়ে দেই। ঘুষের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আলী আজগর অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার সকালে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সরাসরি কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © Sonargaonnews 2022
Design & Developed BY N Host BD