বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁও নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার (্এসিল্যান্ড) বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর এক ড্রেজার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের দলরদি ছটাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ড্রেজারের দুটি ইঞ্জিন, ৫ ড্রাম তেল ও শ্রমিকদের তৈজস পত্র, নগদটাকাসহ প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভ‚ক্তভোগী ব্যবসায়ী হাজী আফজাল হোসেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যবসায়ী আফজালের অভিযোগ, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না বৃহস্পতিবার তার অফিসে ডেকে নিয়ে সার্ভেয়ার নুরে আলমের সামনে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তিনি দাড়িয়ে থেকে তার গাড়ি চালক আবু মিয়াকে দিয়ে ড্রেজার আগুন ধরিয়ে দেন। এদিকে গত রোববারও তিনি জামপুর ইউনিয়নের পেরাব এলাকায় একটি ভেকু পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ।
ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান, বারদী ইউনিয়নের ছটাকিয়া এলাকা থেকে শুরু করে জামিরা এন্ড শ্যামা নামের ড্রেজারের মাধ্যমে একটি কোম্পানি বালু ভরাট করার জন্য পাইপ লাইন টানা হয়। লাইন টানা দেখে এসিল্যান্ড বৃহস্পতিবার তার অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি পাইপ লাইনের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে কিনা জানতে চান?। এক পর্যায়ে তিনি ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। রোববারের মধ্যে এ টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তিনি সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে তার গাড়ি চালক আবু মিয়াকে দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ড্রেজারের দুটি ইঞ্জিন, ৫ ড্রাম তেল ও শ্রমিকদের তৈজস পত্রসহ প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ড্রেজার শ্রমিক নাদিম ও মোক্তার হোসেন জানান, এ ড্রেজারের বৈধ কাগজপত্র ছিল। কাগজপত্র দেখানোর কথা বললে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। কাগজপত্র দেখে অবৈধ থাকলে জেল বা জরিমানা করতে পারতেন। আইনের লোক হয়ে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। আইন তিনি নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) গোলাম মোস্তফা মুন্না বলেন, অবৈধ কাজে ব্যবহার করায় এটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি। দু’দিন আগে তাকে ড্রেজার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ড্রেজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী জানান, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি নিজে ড্রেজারে আগুন দিতে পারেন না।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন